Nobel Prize 2025 Winners Trick: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতি বছর এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয় এবং এখান থেকে প্রশ্ন আসা প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু একাধিক বিভাগে অনেক বিজয়ীর নাম মনে রাখা বেশ কঠিন। এই পোস্টে আমরা ২০২৫ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম এবং তাদের অবদান একটি সহজ গল্পের মাধ্যমে বা ট্রিকের সাহায্যে মনে রাখার কৌশল আলোচনা করব, যা আপনাকে পরীক্ষায় সহজেই সঠিক উত্তর দিতে সাহায্য করবে।
নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize) সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল-এর স্মৃতিতে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। বর্তমানে মোট ছয়টি ক্ষেত্রে এই সম্মানজনক পুরস্কার দেওয়া হয়। অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রথম দিকে অন্তর্ভুক্ত ছিল না; এটি ১৯৬৮ সালে যুক্ত করা হয় এবং ১৯৬৯ সালে প্রথমবার প্রদান করা হয়।
| ক্ষেত্র | পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থা |
|---|---|
| চিকিৎসাবিজ্ঞান (Medicine) | ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট, সুইডেন |
| পদার্থবিজ্ঞান (Physics) | রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস |
| রসায়ন (Chemistry) | রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস |
| সাহিত্য (Literature) | সুইডিশ একাডেমি |
| শান্তি (Peace) | নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি |
| অর্থনীতি (Economics) | সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (Sveriges Riksbank) |
পদার্থবিজ্ঞানে (Physics) নোবেল পুরস্কার ২০২৫
এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে তিনজন বিজ্ঞানীকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
- বিজয়ী: জন ক্লার্ক (John Clark), মিশেল এইচ ডেভর (Michel H. Dever) এবং জন এম মার্টিনিজ (John M. Martinis)।
- অবদান: তারা প্রমাণ করেছেন যে কোয়ান্টাম প্রভাব (Quantum Effects) শুধুমাত্র ক্ষুদ্র পরমাণুতে নয়, বড় ইলেকট্রিক সার্কিটেও দেখা যায়, যা কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির ভিত্তি স্থাপন করেছে।
মনে রাখার কৌশল:
কল্পনা করুন, তিনজন বিজ্ঞানী একটি টানেলের বাইরে দাঁড়িয়ে কোয়ান্টাম টানেলিং নিয়ে গবেষণা করছেন কিন্তু ভেতরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
- একজন বিজ্ঞানী তার ক্লার্ক-কে (Clerk) ভেতরে পাঠালেন। (ক্লার্ক → জন ক্লার্ক)।
- ক্লার্ক ফিরে এসে বলল ভেতরে খুব মশা। তাই তাকে মশা তাড়ানোর জন্য মর্টিন (Mortin) দেওয়া হলো। (মর্টিন → জন এম মার্টিনিজ)।
- ক্লার্ক আর ফিরে না আসায়, অন্য একজন বিজ্ঞানী তার দেবর-কে (Devar) ভেতরে পাঠালেন। (দেবর → মিশেল এইচ ডেভর)।
শান্তিতে (Peace) নোবেল পুরস্কার ২০২৫
- বিজয়ী: মারিয়া কোনা মাচাডো (Maria Ressa Machado)।
- অবদান: ভেনিজুয়েলায় অহিংস পদ্ধতিতে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তার সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপ।
মনে রাখার কৌশল:
কল্পনা করুন, একটি দেশে স্বৈরাচারী শাসক করোনা (Corona) ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে দেশে অশান্তি তৈরি হয়েছে।
- তখন একজন সাহসী মহিলা একটি ভ্যান-এ (Van) করে বেরিয়ে পড়লেন। (ভ্যান → ভেনিজুয়েলা)।
- তিনি করোনাকে মারতে (Corona ke Marte) শুরু করলেন যাতে দেশে শান্তি ফিরে আসে। (‘মারিয়া করোনা’ → মারিয়া কোনা মাচাডো)।
সাহিত্যে (Literature) নোবেল পুরস্কার ২০২৫
- বিজয়ী: লাজলো ক্রোসনা হোকাই (László Krasznahorkai)।
- অবদান: তিনি খুব দীর্ঘ এবং কাব্যিক বাক্য লেখেন যা সহজে শেষ হয় না। তার লেখার এই অনন্য শৈলীর জন্য তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন।
মনে রাখার কৌশল:
একটি লেখা প্রতিযোগিতায় একজন লেখক খুব লেজি (Lazy) এবং স্লো (Slow) লিখছিলেন। (লেজি-স্লো → লাজলো)। তিনি এত দীর্ঘ বাক্য লিখছিলেন যে পরীক্ষক বিরক্ত হয়ে তার খাতায় একটি বড় ক্রস (Cross) চিহ্ন দিয়ে বললেন, “আর কোই না” (Or koi na) যেন এমন লেখে। (ক্রস-আর-কোই না → ক্রোসনা হোকাই)।
রসায়নে (Chemistry) নোবেল পুরস্কার ২০২৫
এ বছর রসায়নে তিনজন বিজ্ঞানীকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
- বিজয়ী: সুসুমু কিতাগাওয়া (Susumu Kitagawa), রিচার্ডস রবসন (Richards Robson) এবং ওমর এম ইয়াঘি (Omar M. Yaghi)।
- অবদান: তারা মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্ক (MOFs) তৈরি করেছেন, যা গ্যাস বা জলীয় বাষ্প ধরে রাখতে পারে।
মনে রাখার কৌশল:
একজন ধনী ব্যক্তির ছেলে, অর্থাৎ রিচ সন (Rich Son), একটি মেটাল ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করল। (রিচ সন → রিচার্ডস রবসন)।
- একজন বিজ্ঞানী সেখানে কিতাব (Kitab) রাখার চেষ্টা করলেন। (কিতাব → সুসুমু কিতাগাওয়া)।
- আরেকজন বিজ্ঞানী এলেন যার এক হাতে ওম (Om) চিহ্ন এবং অন্য হাতে ঘি (Ghee) ছিল। তিনি দ্বিধায় পড়লেন যে ‘ওম ইয়া ঘি’ (Om ya Ghee) কী রাখবেন। (ওম ইয়া ঘি → ওমর এম ইয়াঘি)।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে (Medicine) নোবেল পুরস্কার ২০২৫
এ বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে তিনজন বিজ্ঞানীকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
- বিজয়ী: ম্যারি ই ব্রংকো (Mary E. Broncho), ফ্রেড রামসেল (Fred Ramsell) এবং শিমন সাকাগোচি (Shimon Sakaguchi)।
- অবদান: তারা রেগুলেটরি টি-সেল (Regulatory T-cells) আবিষ্কার করেছেন, যা আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে নিজের শরীরের উপর আক্রমণ করা থেকে বিরত রাখে।
মনে রাখার কৌশল:
শরীরের ইমিউন সিস্টেম ভাইরাসের সাথে লড়াই করার জন্য তপস্যা শুরু করল।
- তপস্যায় খুশি হয়ে একটি ব্রাউন কাউ (Brown Cow) তাকে শক্তি দিল। (ব্রাউন কাউ → ম্যারি ই ব্রংকো)।
- আরও তপস্যা করার পর, রাম (Ram) ভগবান তাকে ভবিষ্যতের গবেষণার জন্য একটি ডেল (Dell) ল্যাপটপ দিলেন। (রাম-ডেল → ফ্রেড রামসেল)।
- এত শক্তি পেয়ে ইমিউন সিস্টেম আনন্দে নাচতে শুরু করলে সবাই তাকে বলল “শ্…মৌন (Shh… Mon) হয়ে যাও”, নাহলে ভাইরাস জেনে যাবে। (শ্-মৌন → শিমন সাকাগোচি)।
অর্থনীতিতে (Economics) নোবেল পুরস্কার ২০২৫
এ বছর অর্থনীতিতে তিনজন বিজ্ঞানীকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
- বিজয়ী: জোয়েল মোকির (Joel Mokyr), ফিলিপ এজন (Philippe Aghion) এবং পিটার হাউট (Peter Howitt)।
- অবদান: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, সৃজনশীল ধ্বংস (Creative Destruction) এবং উদ্ভাবনের ভূমিকার উপর তাদের গবেষণার জন্য।
মনে রাখার কৌশল:
একটি দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তিনজন অর্থনীতিবিদকে মঞ্চে ডাকা হলো।
- প্রথমজন তার মডেল দেখালে জনতা প্রশ্ন করল, “হাউ ইট (How it) works?” (হাউ ইট → পিটার হাউট)।
- দ্বিতীয়জন প্রযুক্তির কথা বললে জনতা চিৎকার করে বলল, “একে মওকা ইয়ার (Mauka Yaar) দেওয়া হোক!” (মওকা ইয়ার → জোয়েল মোকির)।
- তৃতীয়জন বললেন, “পুরানো কেরোসিনের দোকান সরিয়ে এখন ফিলিপস-এর (Philips) বাল্ব বিক্রি করুন!” (ফিলিপস → ফিলিপ এজন)।
ভারতীয় নোবেল বিজয়ীদের তালিকা
| নাম | বিষয় | বছর |
|---|---|---|
| রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | সাহিত্য | ১৯১৩ |
| সি.ভি. রমন | পদার্থবিজ্ঞান | ১৯৩০ |
| হরগোবিন্দ খুরানা | চিকিৎসাবিজ্ঞান | ১৯৬৮ |
| মাদার টেরেসা | শান্তি | ১৯৭৯ |
| সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখর | পদার্থবিজ্ঞান | ১৯৮৩ |
| অমর্ত্য সেন | অর্থনীতি | ১৯৯৮ |
| ভেঙ্কট রমন রামকৃষ্ণন | রসায়ন | ২০০৯ |
| কৈলাশ সত্যার্থী | শান্তি | ২০১৪ |
| অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় | অর্থনীতি | ২০১৯ |
